শুরু হয়েছে ভোটার হালনাগাদ, প্রচারের অভাবে জানে না অনেকেই

ঢাকা মহানগরীর দ্বিতীয় ধাপে ভোটার হালনাগাদের কাজ চলছে। ঢাকা মহানগরীর আওতাধীন বারোটি থানায় একযোগে এই কার্যক্রম চলবে। তবে দ্বিতীয় ধাপে ভোটার হালনাগাদের কাজ শুরু হয়েছে এই ব্যাপারে জানেন না অধিকাংশ নগরবাসী। তথ্য সংগ্রহকারিরাও গণমাধ্যমকে জানায়, প্রচার কম হওয়ায় তাদেরকে মাঠ পর্যায়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এবার দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা মহানগরীর এই ১২টি থানার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আর মধ্যে মতিঝিল, রমনা, মিরপুর ,পল্লবী, তেজগাঁও, ধানমন্ডি, ক্যান্টনমেন্ট, মোহাম্মদপুর, গুলশান, লালবাগ, উত্তরা ও বসুন্ধরা – এসব থানায় নির্বাচন অফিসের আওতাধীন ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য ইতিমধ্যে ৪৩২ জন সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে।

দিনের বেলায় অনেকেই অফিসে কিংবা বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকায় এবার রাতেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. আলমগীর। এই সময়ে তিনি আরও বলেন,‘তথ্য সংগ্রহের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। সকাল থেকে শুরু হবে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাতেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। কখনও কখনও রাতেও তারা তথ্য সংগ্রহ করতে যাবে। ওদের সুবিধা মতো সময় করে নেবে। কারণ ঢাকার পরিস্থিতি একটা ভিন্ন বিষয়। দিনের বেলা বাসায় গেলে অনেককেই পাওয়া যাবে না বিধায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগরীর ১২ থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ফোন নম্বর দিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। কারও কোনো প্রশ্ন থাকলে থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ফোন করতে পারবেন।’

ইসি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরীর ভোটার হতে চাওয়া ব্যক্তিকেও কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। এর মধ্যে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন সনদ, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরের দেয়া নাগরিকত্ব সনদ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জেএসসি, এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশের সনদের কপি ও বাড়ি ভাড়া/ হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রসিদের কপি ।

উল্লেখ্য, এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদে যাদের বয়স ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, যাদের জন্ম ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, যাদের জন্ম ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে এবং যাদের জন্ম ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগের শুধুমাত্র তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন